হার্ট অ্যাটাকে করণীয়

প্রকাশঃ মে ১৪, ২০১৫ সময়ঃ ১০:৪৩ পূর্বাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৮:৫১ পূর্বাহ্ণ

প্রতিক্ষণ ডেস্ক :

heart-failure-300আমাদের পুরো শরীরে অনবরত রক্ত সরবরাহ করে চলেছে হৃৎপিন্ড। রক্তের মাধ্যমে পুষ্টি পেয়ে বেঁচে থাকে আমাদের শরীরের কোষগুলো। এই হৃৎপিন্ড করোনারী র্আটারি নামে হৃৎপিন্ডের গায়ে থাকে দুটি ছোট ধমনী। এরাই হৃৎপিন্ডে পুষ্ঠির যোগান দেয়। কোন কারণে যদি এই করোনারি আর্টারোজিতে ব্লক সৃষ্টি হয় তাহলে যে এলাকা আর্টারি বা ধমনীর রক্তের পুষ্টি নিয়ে চলে সে জায়গার হৃৎপিন্ড কাজ করে না। তখনই হার্ট অ্যাটাক হয়ে থাকে।

হার্ট অ্যাটাক হলে তাৎক্ষণিক যে কাজটি করতে হবে তা হলো ব্লক হওয়া ধমনীর কারনে হৃদযন্ত্রের ক্ষয়তা কমানোর প্রচেষ্টা। হার্ট এটাকের লক্ষণ দেখা দেয়া মাত্রই ইমার্জেন্সি হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে কিংবা ভর্তি করাতে হবে। যত দ্রুত সম্ভব এম্বুলেন্স ডাকতে হবে। এই কাজটি করতে হবে লক্ষণ দেখা দেয়ার এক থেকে দু’ঘন্টার ভেতর। এর বেশি সময় নিলে রোগী বাঁচানো সম্ভব নাও হতে পারে।

হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ

এখন প্রথমেই যে কথাটি  মাথায় আসে বুঝবো কী করে যে হার্ট অ্যাটাক হয়েছে কিনা। হার্ট অ্যাটাকের ক্ষেত্রে সাধারণত নিম্নলিখিত ব্যাপারগুলো চোখে পড়ে:

১. বুকের মাঝে অস্বস্তিকর চাপ অনুভব করা কিংবা বুকে ব্যথা হওয়া। এই ব্যথা ক্রমেই শরীরের নানা অংশে যেমন বা হাতের দিক দিয়ে ছড়িয়ে পড়া।

২. পেটের ওপরের দিকে তুলনামূলক লম্বা সময় ধরে ব্যথা অনুভব করা।

৩. শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া, মূর্ছা যাওয়া।

৪. অস্বস্তিকর চাপ কিংবা বুকে ব্যথার কারণে ঘামতে থাকা।

এখানে লক্ষণীয় যে, হার্ট এটাক শুরু হওয়া বুকের ব্যথা ১৫ মিনিট অবধি থাকতে পারে।

মনে রাখতে হবে বুক ব্যাথা শুরু হয়ে এটি চোয়াল, হাতের দিকে এবং পশ্চাৎ দিকে ধাবিত হয়। লক্ষণগুলো বোঝার সাথে সাথে ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। নয়তো জীবন বিপন্ন হওয়ার আশংকা বাড়বে।

প্রতিরোধঃ

১. ধুমপান না করা

২. মাদক থেকে দূরে থাকা

৩. দুশ্চিন্তা না করা

৪. রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখা

৫. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রন

৬.কলেষ্টেরল নিয়ন্ত্রনে রাখা

৭. চর্বি জাতীয় খাদ্য কম খাওয়া

৮. শাকসবজি – ফল বেশি খাওয়া

৯. দেহের অতিরিক্ত ওজন ঝেড়ে ফেলা

১০. প্রতিদিন শারীরিক ব্যায়াম করা ও অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটা।

করণীয় :
রোগী যদি একা থাকে এবং হার্ট অ্যাটাকের লক্ষন দেখা দেয় তখন কী করনীয়। সে ক্ষেত্রে আপনি যেটা করবেন তা হচ্ছে জোরে জোরে কাশি দিবেন। জোরে জোরে কাশি দিলে হৃদপিন্ডে রক্ত চলাচল কিঞ্চিত বেড়ে যায়।

এসপিরিন খেলে উপকার হয়। এসপিরিন জাতীয় ঔষধ রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধ করে। এ সময় পাশের লোকটিকে আপনার সমস্যার কথা বলুন। কাছাকাছি অবস্থান করছে এমন কাউকে ফোন করুন এবং আসতে বলুন। অবস্থা খারাপ হলে রোগীকে শুইয়ে বুকের ওপর বারবার চাপ দিতে হবে যাতে হার্টে পাম্প হয়। হাসপাতালে দ্রুত নিয়ে যাওয়াটাই সঠিক পদক্ষেপ।

প্রতিক্ষণ/এডি/নুর

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

May 2024
S S M T W T F
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031
20G